চুপকথারা...
{১}
ওরকম বেলা ছিল প্রথার বিরোধ
ওরকম চুপচাপ বসা,
যেন কোন কথা নেই আর।
বালিঘড়ি শিরশির বালি,
পলাতকা আলো পড়ে পায়ের ঘুঙুর তার
কারুছবি আলোর মোহর।
হাওয়াকেও বলা ছিল উড়ানের ছন্দ পড়ার;
সন্ধ্যার কথা নিয়ে বসে ছিল--
যেন কোন কথা নেই আর
{২}
বিরুদ্ধ চিন্তা শুধু জল ভাবে, সেতু নয়- নৌকোর
অপেক্ষা তবু ভাল; জাল ছুঁড়ে মার তবু জলে থাকি
শিকারগন্ধী মাছ
{৩}
কত শীত এসে
কেঁদে গেল
তবু ঘুম এলো না, সুপর্ণা
{৪}
কুয়াশা-আয়না
বড় বেমানান
মনে হলে-
চোখ থেকে হৃদয় অবধি
সড়কে সে আর যায় না।
পুষ্পপ্রবণ মন
ফাগুনে আগুন ছোঁয়
শীত পোহাতে আসে না।
{৫}
সবুজ টেনিস বল
হয়ে আছি
শারাপোভা
ছুঁড়ে দাও
আলোরেখা
অন্ধ মাতাল এইস-
কে ফেরায়, দেখি।
{৬}
মায়া সাইরেন, কতভোর বাজে! এখনই যাব
সুরাসক্তি ভুলে; আলোকরা আকাশ মরিয়া ডাকে-
আয় আয় বাগানবাড়ির আড়ি পাতা রোদছেলে,
দেখ শ্রাবণের গ্রীবা থেকে এসে গেছে উড়োচিঠি--
এসেছেরে মুখরিতা রোদ
{৭}
ওষ্ঠ থেকে নেমে এসো নীল তন্দ্রা লতা
আমাতে প্রোথিত হও একতারা মনের মানুষ
বাস কর বেঁচে থাক বিষয়-মগজে
দামাল সাঁতারের ঝোঁক
{৮}
তারা
......
রাতের নেকা্বে
কার চোখ অজস্র ঝিলমিলে জাগে !
{৯}
আহা জলের ঘরটি
অই মুক্তির রুপালী আঁধার
বেলা অবেলার খুশির সন্তরণ;
ছলনাতে ভুলেছিলাম ওরে চোখের অধরা চিরকাল,
দেখি নাই জাল-
তোরে বুঝি নাই,
মৎস হৃদয় কি জানে- বিনাশ কেমন করে আলো করে আসে !
{১০}
আমি আছি
সূর্য প্রাচী
আলোর মিছিলে
তাইতো বাঁচি
কাছাকাছি
দীপ্তি না এলে
তোর গ্রহণ না গেলে
{১১}
আমাকে পতনের কথা বলেছিল নির্ঝর
বয়ে চলার কথা,
মুক্তির ডানাকথা ঘরহারা কিছু নয় শুধু-
তারও কিছু লক্ষ্য আছে সমুদ্র আকাশ।
একটা কীযেন টানে
ছোটে, গড়ে মুক্তির তৃষিত পূজক।
তার ব্যাখ্যা বোঝ।
{১২}
অন্ধকার কোন কিছুর আড়াল হতে পারে, শুধু নৈঃসঙ্গের প্রতীক নয়। একটা রৌদ্রদীপ্ত দিনও এইসব মানুষের মত নিঃসঙ্গ হতে পারে।
{১৩}
আমাদের বুকে কিছু নিন্দা লেগে আছে যারা প্রেম সম্ভূত নয়
{১৪}
রূপ দেখেছি তার
মন চিনি নি যার
রূপ দেখেছি তার
হাজার হাজার বার
{১৫}
হারিয়েছ অন্ধকার
মোম শান্ত শিখা
স্বতঃস্ফূর্ত ফাগুন হারিয়েছ
রঙ পত্রলিখা
{১৬}
ভালোবাসাই সেরা অ্যাফ্রোডিজিয়্যাক
এই আমাদের ঘুমবাসনা
বিতৃণ মাঠ,
জেসমিন জেসমিন।
গল্পের উঠোন জুড়ে মাথুর কাহিনী-
ঘ্রাণ থেকে গন্ধমেদুর বাগান মুছে গেলে
শরীর এক সীমিত কোকেন।
{১৭}
শ্রবণের খোঁজ চলছে,
মেলায় বেলোয়ারি প্রাঙ্গনের রঙ সেই গানের মতন।
তার সুর অর্ধজাগরণের স্বপ্নে আসে
আর ভুলে যেতে চায় সকালেই না গাইলে
এরকম উপলব্ধির রাতে, শ্রবণের খোঁজ চলছে।
{১৮}
সেই এক স্মরণের উপহার দুই চোখে
সন্ধ্যা নদী,
কত শ্রাবণ লেগেছে তার বুকে!
{১৯}
হরিণের চোখ সব তারা হয়ে
অই এক শ্রাবণী পূর্ণিমা, নিঝুম দ্বীপ।
আর আমি ভাবি যা কিছু লুপ্তোদ্ধার,
এক ফুঁ-এ উড়িয়ে দিয়ে মন আর আকাশের সহস্র নিষাদ শঙ্খচিল
জায়গা করে নেব তোর কোলে
নন্দিনী মেঘ।
চলে যাবো--
অই এক রাত কাটাবো সব অন্ধ হরিণীর সাথে।
{২০}
এখন সে উড়ে গেছে হাত,
একটি বেলি ভরা গাছে
ঢেউ লাগা আলপনা তার...
স্থির বসে আছে;
তারে ফের কেন ধরে রাখি
এমন কাউকে আমি প্রজাপতি ডাকি।
{২১}
শত্রু না
বন্ধু না-
বন্দনা
{২২}
সিগারেট
............
না, ধূপ টুপ কিছু নই
পুড়ে পুড়ে একটা অসুখ দিয়ে যাব
{২৩}
সানাই
.......
অতিথিরা চলে গেছে
পতঙ্গমুগ্ধ আলো ছেড়ে দূরে জেগে উঠছে এক বন অন্ধকার
যুক্ত বা বিযুক্তি কথা সব
হতে পারে;
হতে পারে অন্ধমুখ
অথবা সন্দীপনি রাত এই সুর লাগা
দূর লাগা
খুব...
{২৪}
আঙ্গুলে অসুখ
ডায়েরী পাতায় তবু কিছু আদান-প্রদান
খোঁজ নিলি না তুই,
তার অভিমান।
{২৫}
তবু ঝুমকো ঝরায় হায় পায়রামুগ্ধ দৃষ্টি
আর নিরাভরণ রাত ঢলে যায়...
হেসে ঢলে পড়ে যায় চুলে আর
মোমদানী হয়ে ওঠে রিক্তার মুখ,
রাত্রির দরকারী আলোকথা
ইতিহাস হয়ে আসে সুচতুর ভোর।
{২৬}
কথারা প্রাণের মুখ কিছু
কবিতারা প্রাণ আর
সন্ধ্যা নদীর পাড় থেকে
আমাদের বসতি অবধি
জোছনারা চলে এসে ঘর বসালে
আমাদের ডাকনাম
গান
{২৭}
কত যে বিকেল অমন হাঁটা শিশিরের ঘাসে।
এরপর রাতের শরীর থেকে
অযত্নে তুলে ফেলা একটা একটা চোরাকাঁটা বলে -
পদক্ষেপ
গিরিখাত... ..
{২৮}
হারিয়ে যাচ্ছে ঘুঘু, এরকম কত পাখি
{২৯}
হয়তো আছি
হয়তো ছিলাম না কোনদিন তার কাছে,
তবু সে মোহন দ্বিধারচয়িতা আছে;
এইটুকু জানি, চিরকাছের অন্ধকারে
সে চিরকাল বসে আছে হরফ সাজানো আলোহাতে।
{৩০}
লুকিয়ে কেঁদেছে কেউ
আর্দ্র সকাল
ভাদ্র এমন চিরকাল
{৩১}
বুকের পাথরে চোখ নুয়ে জল
তারপর জীবনের ক্ষয় থেকে চন্দনা হয়ে যাবে রক্ত তিলক
{৩২}
হে নিরঞ্জন,
জপে চলেছি
আঙুল গুনে নয়
{৩৩}
কে দেখেছে সূর্যমোচন
কে জেগেছে এত দীর্ঘ রাত
{৩৪}
সেই অমাবস্যা কাজল হয়ে গেছে
বৃন্দার হরিণ,
মায়া ঢালো
আরো ঢালো
{৩৫}
সুর সুফিয়ানা এক
কত চেনা তুই আর কত অজানা
{৩৬}
দূরের শিস্ নিয়ে নাচো অ্যামারেন্থ
{৩৭}
যে রক্তপুষ্পের জন্য এই বিষাদকাল
সে পুষ্পও আততায়ী হতে পারে, মন।
{৩৮}
মন জমেছে দেখ,
চন্দ্রাহত তিতির তুমি এক।
কেমন দুরাশায় পিপাসা লেগেছে খুব শুশ্রূষার, দেখ না কি!
লাগাতার রাতরূপ দেখে দেখে মন ভিড়েছে দেখ তামিলের দেশ,
হে অনাদৃতা অনাদির পাখি-
এই চন্দ্রচেতনা তুমি লুকাবে কোথায়!
...তারপর আমি শুধু অন্ধ হতে পারি।
{৩৯}
ভুলে যাবো,
তোর কবিতার শরীর চিরে উড়ে যাব তিশাবাজ;
তোর অক্ষর রক্তবীজ--
এ আমার পরাজিত ভূম
চলে যাবো।
{৪০}
অদেখা যত্নের হাতে
গোপনে একটি বাগান ছাদে কর।
ছোট্ট এ জীবনের ছাদ ভরা রাতে
রঙেরা লুকিয়ে রবে।
ভোর হবে,
তোমার মতন ভোর
আর আমাদের ছাদে সারি সারি রোদলাগা হাসি
নিরালায় প্রাণ জড় কর
গোপনে একটি বাগান ছাদে কর।
ওরকম বেলা ছিল প্রথার বিরোধ
ওরকম চুপচাপ বসা,
যেন কোন কথা নেই আর।
বালিঘড়ি শিরশির বালি,
পলাতকা আলো পড়ে পায়ের ঘুঙুর তার
কারুছবি আলোর মোহর।
হাওয়াকেও বলা ছিল উড়ানের ছন্দ পড়ার;
সন্ধ্যার কথা নিয়ে বসে ছিল--
যেন কোন কথা নেই আর
{২}
বিরুদ্ধ চিন্তা শুধু জল ভাবে, সেতু নয়- নৌকোর
অপেক্ষা তবু ভাল; জাল ছুঁড়ে মার তবু জলে থাকি
শিকারগন্ধী মাছ
{৩}
কত শীত এসে
কেঁদে গেল
তবু ঘুম এলো না, সুপর্ণা
{৪}
কুয়াশা-আয়না
বড় বেমানান
মনে হলে-
চোখ থেকে হৃদয় অবধি
সড়কে সে আর যায় না।
পুষ্পপ্রবণ মন
ফাগুনে আগুন ছোঁয়
শীত পোহাতে আসে না।
{৫}
সবুজ টেনিস বল
হয়ে আছি
শারাপোভা
ছুঁড়ে দাও
আলোরেখা
অন্ধ মাতাল এইস-
কে ফেরায়, দেখি।
{৬}
মায়া সাইরেন, কতভোর বাজে! এখনই যাব
সুরাসক্তি ভুলে; আলোকরা আকাশ মরিয়া ডাকে-
আয় আয় বাগানবাড়ির আড়ি পাতা রোদছেলে,
দেখ শ্রাবণের গ্রীবা থেকে এসে গেছে উড়োচিঠি--
এসেছেরে মুখরিতা রোদ
{৭}
ওষ্ঠ থেকে নেমে এসো নীল তন্দ্রা লতা
আমাতে প্রোথিত হও একতারা মনের মানুষ
বাস কর বেঁচে থাক বিষয়-মগজে
দামাল সাঁতারের ঝোঁক
{৮}
তারা
......
রাতের নেকা্বে
কার চোখ অজস্র ঝিলমিলে জাগে !
{৯}
আহা জলের ঘরটি
অই মুক্তির রুপালী আঁধার
বেলা অবেলার খুশির সন্তরণ;
ছলনাতে ভুলেছিলাম ওরে চোখের অধরা চিরকাল,
দেখি নাই জাল-
তোরে বুঝি নাই,
মৎস হৃদয় কি জানে- বিনাশ কেমন করে আলো করে আসে !
{১০}
আমি আছি
সূর্য প্রাচী
আলোর মিছিলে
তাইতো বাঁচি
কাছাকাছি
দীপ্তি না এলে
তোর গ্রহণ না গেলে
{১১}
আমাকে পতনের কথা বলেছিল নির্ঝর
বয়ে চলার কথা,
মুক্তির ডানাকথা ঘরহারা কিছু নয় শুধু-
তারও কিছু লক্ষ্য আছে সমুদ্র আকাশ।
একটা কীযেন টানে
ছোটে, গড়ে মুক্তির তৃষিত পূজক।
তার ব্যাখ্যা বোঝ।
{১২}
অন্ধকার কোন কিছুর আড়াল হতে পারে, শুধু নৈঃসঙ্গের প্রতীক নয়। একটা রৌদ্রদীপ্ত দিনও এইসব মানুষের মত নিঃসঙ্গ হতে পারে।
{১৩}
আমাদের বুকে কিছু নিন্দা লেগে আছে যারা প্রেম সম্ভূত নয়
{১৪}
রূপ দেখেছি তার
মন চিনি নি যার
রূপ দেখেছি তার
হাজার হাজার বার
{১৫}
হারিয়েছ অন্ধকার
মোম শান্ত শিখা
স্বতঃস্ফূর্ত ফাগুন হারিয়েছ
রঙ পত্রলিখা
{১৬}
ভালোবাসাই সেরা অ্যাফ্রোডিজিয়্যাক
এই আমাদের ঘুমবাসনা
বিতৃণ মাঠ,
জেসমিন জেসমিন।
গল্পের উঠোন জুড়ে মাথুর কাহিনী-
ঘ্রাণ থেকে গন্ধমেদুর বাগান মুছে গেলে
শরীর এক সীমিত কোকেন।
{১৭}
শ্রবণের খোঁজ চলছে,
মেলায় বেলোয়ারি প্রাঙ্গনের রঙ সেই গানের মতন।
তার সুর অর্ধজাগরণের স্বপ্নে আসে
আর ভুলে যেতে চায় সকালেই না গাইলে
এরকম উপলব্ধির রাতে, শ্রবণের খোঁজ চলছে।
{১৮}
সেই এক স্মরণের উপহার দুই চোখে
সন্ধ্যা নদী,
কত শ্রাবণ লেগেছে তার বুকে!
{১৯}
হরিণের চোখ সব তারা হয়ে
অই এক শ্রাবণী পূর্ণিমা, নিঝুম দ্বীপ।
আর আমি ভাবি যা কিছু লুপ্তোদ্ধার,
এক ফুঁ-এ উড়িয়ে দিয়ে মন আর আকাশের সহস্র নিষাদ শঙ্খচিল
জায়গা করে নেব তোর কোলে
নন্দিনী মেঘ।
চলে যাবো--
অই এক রাত কাটাবো সব অন্ধ হরিণীর সাথে।
{২০}
এখন সে উড়ে গেছে হাত,
একটি বেলি ভরা গাছে
ঢেউ লাগা আলপনা তার...
স্থির বসে আছে;
তারে ফের কেন ধরে রাখি
এমন কাউকে আমি প্রজাপতি ডাকি।
{২১}
শত্রু না
বন্ধু না-
বন্দনা
{২২}
সিগারেট
............
না, ধূপ টুপ কিছু নই
পুড়ে পুড়ে একটা অসুখ দিয়ে যাব
{২৩}
সানাই
.......
অতিথিরা চলে গেছে
পতঙ্গমুগ্ধ আলো ছেড়ে দূরে জেগে উঠছে এক বন অন্ধকার
যুক্ত বা বিযুক্তি কথা সব
হতে পারে;
হতে পারে অন্ধমুখ
অথবা সন্দীপনি রাত এই সুর লাগা
দূর লাগা
খুব...
{২৪}
আঙ্গুলে অসুখ
ডায়েরী পাতায় তবু কিছু আদান-প্রদান
খোঁজ নিলি না তুই,
তার অভিমান।
{২৫}
তবু ঝুমকো ঝরায় হায় পায়রামুগ্ধ দৃষ্টি
আর নিরাভরণ রাত ঢলে যায়...
হেসে ঢলে পড়ে যায় চুলে আর
মোমদানী হয়ে ওঠে রিক্তার মুখ,
রাত্রির দরকারী আলোকথা
ইতিহাস হয়ে আসে সুচতুর ভোর।
{২৬}
কথারা প্রাণের মুখ কিছু
কবিতারা প্রাণ আর
সন্ধ্যা নদীর পাড় থেকে
আমাদের বসতি অবধি
জোছনারা চলে এসে ঘর বসালে
আমাদের ডাকনাম
গান
{২৭}
কত যে বিকেল অমন হাঁটা শিশিরের ঘাসে।
এরপর রাতের শরীর থেকে
অযত্নে তুলে ফেলা একটা একটা চোরাকাঁটা বলে -
পদক্ষেপ
গিরিখাত... ..
{২৮}
হারিয়ে যাচ্ছে ঘুঘু, এরকম কত পাখি
{২৯}
হয়তো আছি
হয়তো ছিলাম না কোনদিন তার কাছে,
তবু সে মোহন দ্বিধারচয়িতা আছে;
এইটুকু জানি, চিরকাছের অন্ধকারে
সে চিরকাল বসে আছে হরফ সাজানো আলোহাতে।
{৩০}
লুকিয়ে কেঁদেছে কেউ
আর্দ্র সকাল
ভাদ্র এমন চিরকাল
{৩১}
বুকের পাথরে চোখ নুয়ে জল
তারপর জীবনের ক্ষয় থেকে চন্দনা হয়ে যাবে রক্ত তিলক
{৩২}
হে নিরঞ্জন,
জপে চলেছি
আঙুল গুনে নয়
{৩৩}
কে দেখেছে সূর্যমোচন
কে জেগেছে এত দীর্ঘ রাত
{৩৪}
সেই অমাবস্যা কাজল হয়ে গেছে
বৃন্দার হরিণ,
মায়া ঢালো
আরো ঢালো
{৩৫}
সুর সুফিয়ানা এক
কত চেনা তুই আর কত অজানা
{৩৬}
দূরের শিস্ নিয়ে নাচো অ্যামারেন্থ
{৩৭}
যে রক্তপুষ্পের জন্য এই বিষাদকাল
সে পুষ্পও আততায়ী হতে পারে, মন।
{৩৮}
মন জমেছে দেখ,
চন্দ্রাহত তিতির তুমি এক।
কেমন দুরাশায় পিপাসা লেগেছে খুব শুশ্রূষার, দেখ না কি!
লাগাতার রাতরূপ দেখে দেখে মন ভিড়েছে দেখ তামিলের দেশ,
হে অনাদৃতা অনাদির পাখি-
এই চন্দ্রচেতনা তুমি লুকাবে কোথায়!
...তারপর আমি শুধু অন্ধ হতে পারি।
{৩৯}
ভুলে যাবো,
তোর কবিতার শরীর চিরে উড়ে যাব তিশাবাজ;
তোর অক্ষর রক্তবীজ--
এ আমার পরাজিত ভূম
চলে যাবো।
{৪০}
অদেখা যত্নের হাতে
গোপনে একটি বাগান ছাদে কর।
ছোট্ট এ জীবনের ছাদ ভরা রাতে
রঙেরা লুকিয়ে রবে।
ভোর হবে,
তোমার মতন ভোর
আর আমাদের ছাদে সারি সারি রোদলাগা হাসি
নিরালায় প্রাণ জড় কর
গোপনে একটি বাগান ছাদে কর।