পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কেন... ?

আজীবন আপন থাকার স্বপ্ন দেখিয়ে গেছে কবিতার দূর্বাগাছির করতল, স্ফূরণের রঙ্গন- এই বিভোর চলাচলে শ্রান্তি নেই ধুলোর টাইপরাইটার কবির ম্যাজিকবক্স পিয়ানোর মত তাই বেজে ওঠে তোমাদের রৌদ্র বাতাস। আপন হাওয়ায় তার বুকের উইন্ডমিল, হৃদয় নাচ পাখি তার অক্ষর স্লিপিং পিল অথবা জাগ্রতের শাণিত চোখ হতে পারে, তাকে পথ দেখিয়ে গেছে ছায়াপাখি ওহ অসহ ব্লিজার্ড... আজীবন কান্না করার ইচ্ছে জাগিয়ে গেছো নাছোড় ছায়াপাখি! কবিরা তাই মেঘপ্রেমিকের দল, স্বপ্নখচিত হিয়েরোগ্লিফ ছড়িয়ে দিয়েছে যারা স্মৃত কোনো মহৎ ভুলের দিকে; ফুটিয়েছে অক্ষরের দ্রোহ আর নাচ... আর ঘুম কবির মৌনমন্দিরে তার চির উন্মুক্ত নৈঃশব্দ্যের কাছে কবিতা কালো হীরের ভ্রমর, জীবন অথবা মরনের প্রসন্ন গ্রহণ কবিতা নীলচে গীটার অন্ধ তানে যার ভেসে যায় অন্তর-মহাল রবিনসনের দ্বীপ.....................

ড্রাংক

একটা সময় হবো নীল চক্রবাক সময়ে সময় মিলে রঙের ক্রোটন; আঙ্গুল যখন ছোঁবে মেরুন স্প্যানিশ ঘোর যাত্রা হবে ঝিম প্রপেলার সুদূর রুপোর দেশ ঝড় জলপথ ডুবুরীর হার্পুনে বিষ মেশাবো। একটা উড়ান হবে পতঙ্গ দহন ছিন্নভিন্ন করে যত হানিট্র্যাপ মোক্ষ মধুর জানে নিশানার তির একটু বেপথু হয়ে সামলে নেবো।।

দোল জানবে না

ধাঁধানো রঙে চেনা চেনা মুখ সব, সব মুখে আপন ফাগুন, রঙবন্দনা রৌদ্রলেখায় যে নাম আলপনা করা ঝাউময়ী জমাট সবুজ ওরকম লীন কারো মুখ খোঁজো দীপ্ত আবির নয় দোল হও আকাশকাজল মেঘ তারার আড়াল মত কালো রূপটান নাবিকের দীর্ঘ ভ্রমণ শেষ, তার চোখ আর দূর তাকাতে পারে না নদী আর ভ্রুরেখায় অচেনার বাঁক তবু কীর্তিনাশার তৃষ্ণা... নাবিক জানে না, আদিম সুর্মা-পানকৌড়ি কোনো চিহ্ন রাখে না তার পথে যাত্রার প্রবর্তনা রেখে যায় যখন সে ডুব দেয় নদী আর বনশ্রী পথে জোছনার উৎসব ভিড়ে সেই ডুবসাঁতারি আর লক্ষ্য রাখে না এই খেলা জানবে না তৃষ্ণার মানে আর অভ্যর্থনা এক নয় যাপন, দেখানো বন্দনা স্বপ্নের কোন্ রঙে অচেনা পাখির পাখনা দোল জানবে না দোলপূর্ণিমা দেখা হলে অজানা জ্যোৎস্না আর কেউ দেখবে না

মিসিং

প্রাপকের নাম আর ঠিকানা লিখে দিলেই চিঠি পৌঁছে না। ডাক পিয়ন কেমন আছে জানা প্রয়োজন। যেমনি জানা প্রয়োজন তোমার হাসি কেমন আছে, তোমার কান্না আর কেমন ছায়ায় মোড়া তোমার চোখের পথ! কি ঠিক ছিল কোথায় বেঠিক এইসব তর্ক আর শোরগোল এক পাশে ঠেলে দিয়ে আমরা বুঝলাম একটু ঘুরে আসা প্রয়োজন... সেই ভ্রমণে সেগুন অরণ্যে জ্যোতিপাখি দেখে নির্বাক হয়ে গিয়েছিলে। কারো কাছেই ধরা দিলো না সে! তাকে ধরতে চেয়েছিলো এমনকি দক্ষিণ বাতাস, অবেলার বর্ষণ এবং তুমি। পাখি উড়ে গেলে এই রুটিনবসন্তে পড়ে রইলো যুগল কান্না আর একটা হুডখোলা ভেজা রিক্সার নিঃসঙ্গ বেল-এর মনটোন। ============= ৫ মার্চ ২০১২

অন্যকোথাও

আর আলোরও আচ্ছন্ন লাগে মেহগনি পাতার নিবিড় দূরের ভূখন্ডে তাই সন্ধ্যার রঙ বারোমাস জীবনের থেকে দূর কুহকীর দ্বীপ প্রহসন থেকে দূর প্রমূর্ত ইচ্ছের দেশ দিন তুমি ঘুমিয়ে যাও এবারে শঙ্খ নৌকোয় ভাসাবো জোনাকির আলো ও পাপ, শিকারী তাঁবুর যুগল ছায়া আর সাথে নেব ইক্ষুর মদ হেমন্ত তরুণীর নাচের পরব দূর শাদা পালে যাও ঈর্ষার নাও আমারে নিও রে মাঝি- মেঘলার দ্বীপ যাবো নাগা প্রাচীনের কাছে লুণ্ঠিত হলে হোক যা-কিছু আমার গৈরিক বসনে যাও দিল বাউলের নাও নিয়ে যাও যেইখানে এত সুরে কথা বলে আদি শৈশব মাঝি তোমারে শোনাতে রাজী নুলিয়ার অথৈ মরন, মায়াবী ঘাতক আছে বলে রাখি- ঐখানে মেঘলার দ্বীপ, ডুবোচর পথ... শব-ডুবুরী আমি পথ চিনি নিয়ে যাও যেইখানে এত ভোর ভাসিয়েছি আহির ভৈরব