পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

খেয়ালী লেখারা...

{১} কাঠদস্যু হানা দিয়েছিলো চন্দন বনে লুটেরা কুড়োল ঝুলিয়ে রেখেছিলো তারপর রাত্তিরে ডেরায় ফিরে ... সুঘ্রাণে সুঘ্রাণে তার আজ অনিদ্রা রোগ {২} দোলনায় দোল দেখে দেখে কিশোর ছন্দ শিখেছে {৩} পুষ্প অধীর দেখে, কার হাসি থেকে প্রজাপতি উড়ে উড়ে যায় হাসিন পাখায় {৪} দক্ষরেখায় আটকে আছে কে কে? {৫} এবার সব কৃষ্ণপক্ষের কালো তুলে নিতে পারি দাহকাল অচেনা সময় নয়, এবারও বুকের দাহ দুর্বহ নয়; এবারও ভবিষ্যত বলে দিতে পারি, -- মনপুরা দীঘিতে ডুব দিয়ে পারঙ্গম শ্বাসে তুলে আনব মোহর কলস; অগ্নিযুদ্ধে আমি সেই রূপকলসে নেব জল। মোহর তোমার। {৬} তাপমাত্রা বাড়ছে ফ্যান, এসি পুরোদমে এবার হাতে বোনা হাফ সোয়েটার তুলে রাখি তুলে রাখি আঙুলের কারুকাজ কাছের অভয়, গ্রীষ্ম অসহ্য সময়। {৭} কী ভেবে যেন, ঠোঁট ছুঁইয়ে একবার নক্ষত্রে উড়িয়ে দিয়েছিলাম রুপোলি কাগজের প্লেন ! {৮} আজ এই সবুজতম বৃক্ষ হোল তোর ঘুমের আশ্রয় হিরন্ময় পাখি ...... শ্রাবণ নিবিড় ছিলো {৯} আর এইসব সুচরিত বসন্তদিনও একদিন বর্ষামুখর হবে, জানি {১০} একটা আলোচিল পথ ভুলে গেছে তার পিছে উড়ে উড়ে দিন হারিয়েছে {১১} দিন যায় দিন মুছে যায় আমরা চেপেছি শেষ সন্ধ্যার ট্রেন দেন-দরবার, গল্পকথা, প্রাপ্তি- অ...

বোধন

রাত্রি বোধনে এলে জানিও যেখানে ছোপ ছোপ চিতারা ঘুমিয়েছিলো বনপলাশের আঙ্গিনা, সেখানে আরতি হবে, এসো। পায়ে পায়ে মাড়িয়ে যেও আলোর পৌরুষ পর্দা রেখো না। অরণ্যে লুকায় না কেউ অরণ্যে কেউ মুখ ঢাকে না। পুরো প্রচ্ছদে রাত্রি এনে দিতে সব কবিতাকে শিখিয়ে দিও চরসুন্দরে বসবাস- যেখানে চুপচাপ শীতের পাখি মন ভোলাতে জানে না। সেখানে আরতি হবে, এসো। ..................... সোম, ২০/০২/২০১২

সুর

এ কেমন দুপুর হলদে চিঠির নিলামের দিন এ কোমল পৌষদিন ভোরগভীর দুপুর! সুবর্ণ আঙ্গুলে টোকা দাও বেজে উঠি ধুলোর গীটার টোকা দাও ঝরে পড়ুক রৌদ্র কণা দিন ফুরোবার আগে, ললিতঘুমের আগে কিছু অবসাদে জমিয়ে নেই এসব রিহার্সেল মৌনদুপুরে জমে শালবনবিহারের অচিন পাখির ডাক হারিয়ে যাওয়ার মনটোন এ এমন ক্ষণ দাহনবেলায় সিক্তার রুপালি শাওয়ার আর্শির ঝাপসায় জল পুঁতিমালা যুবকদুপুর তার শিশিরসঙ্গ বেলায় এ এমন সঙ্গীত, ধ্রুপদীয়ার অনিঃশেষের গান একলার সঁপে দেয়া ধুনে আসে কি না আসে ভেসে ভেসে বিহ্বল আলোর কার্পেটে অচৈতন্য সন্ধ্যার দেশ আলোর মশাল জ্বালো ব্যথা টাপুর-টুপুর ব্যথা আমার কৃষ্ণসখা পুষ্করে অবাধ সাঁতার; বাজিকর নই, এই পাখিপ্রাণ আকাশবিলীন এত প্রার্থনাসঙ্গী্ত আপনমুক্তির; পরাশ্রয়ী নই আয়ত চোখরেখার পথে যে ঘরের ঠিকানা বলা ছিল সে ঘর দেখেনি কোনো কবিতাকৃষক তবে এই পৃথিবীতে কোনোদিন কোনো সুর লুণ্ঠিত হয়নি জেনো বাঁশিসিদ্ধ জাদুই আঙ্গুল খেলে... এবার অধরে সন্ধ্যা ঘনায় রোশনির ফুল হয়ে ফোট অয়ি বন্ধা সময় - দেখ, উপড়ে যাওয়া নখে লেগে আছে পরিখার মাটি, যাবতীয় আত্মরক্ষা ============================================== ফেব্রুয়ারী ০৩, ২০১২

মেসবাড়ির লিরিক

পুরোনো ঘর পুরোনো তোর পুরোনো মেসবাড়ি সিংগেল বেড ময়লা চাদর না তোলা মশারী তুই নিশাচর ঘুম দিনভর ক্লাশ বাংকের ফাঁকে লাইব্রেরীর চুপটি কোণ মিষ্টি হেসে থাকে ‘সেলুনে যা চুল কাটা’ ঠোঁট বাঁকানো রাগ লাল পাড়ে সাদা শাড়ি ঠান্ডা চায়ের কাপ অবাক ভোর, ছিল তোর একুশ ফেব্রুয়ারী রাতের আলপনা শেষে মৌন প্রভাতফেরী এমন সব, শোক - নাটক, আনন্দ মিছিলে চিত্র প্রদর্শনীর হলে ক্যান্টিন-টেবিলে জমিয়ে গান আড্ডা তোর রাত করে মেসবাড়ি না-ঘুম রাত, কল্পনায় রাতটা যে দরকারী সেদিন ভোর, অবাক তুই, তোর কে এসেছিল? সাত সকাল মেসবাড়ি সাজিয়ে দিয়েছিল খুব গুছিয়ে ঘরটি তোর, টানানো মশারী সেই মেয়েটা বলেছিল, ‘দেখ্, গোছাতে পারি’ বুঝলিনা, কিচ্ছু তার- বুঝলি কি এর মানে সেই সকালের গল্পকথা কাকে পিছুটানে? পিছুটানের মানে জানিস তুইও যাযাবর লিখলি তবে কেমন করে সকালের অক্ষর! =========================== জানুয়ারী ৩১, ২০১২

সংলাপ

আমি বললাম মেঘ তুমি বললে বৃষ্টি জীবন বলল কান্না কান্না দেখে শেখ।। আমি বললাম নাচ তুমি বললে কষ্ট জীবন বলল গোপন পর্দা টেনে রাখ।। তুমি বললে নাটক আমি বললাম নদী জীবন বলল থাম নাটকপাড়ায় শোক।। তুমি বললে বীজ আমি বললাম ভূমি জীবন বলল খরা ভূমি কোথায় পিচ?! আমি বললাম শিশু তুমি বললে হাসি জীবন বলল বাউল সব শিশুরা যীশু।। আর কথা নয়, থাক্ তুমি বললে, ‘বলো’ জীবন বললো, ‘ভয়?’ কথায় মেতে থাক।। ============= জানুয়ারী ২৭, ২০১২