বৃন্দগানে খুলে যাচ্ছে বাঁধন, আমাদের সপ্তম আকাশ মেঘবালিকার চুল চেরা আলো ভিজিয়ে দিচ্ছে নেত্রকোণ আমাদের চোখ আজ ভ্রমর কপোত; দূর দূর গন্ধরাজের বন থেকে ভেসে আসছে ঘুমপনা – মায়াশোক... ত্রিপুর পাহাড়ে থির জমে ছিল যে পাথর সন্ধ্যা এক অসিতামেঘ তাকে ভুলিয়ে এনেছে এই অশরীরীর দেশে সে আরো চুপধ্যানে হয়ে যেতে পারত একটি প্রত্নরাত, প্রাগজ্যোতিষপুরের ভোরদুলারি দোয়েল কিন্তু সে হয়ে উঠলো বহ্নির রক্তবাহার একটি মৌন মোম থেকে সে হয়ে উঠলো দাবানল তার তাপে আচমকা জ্বলে উঠলো সার সার কমলার বন স্বপ্নজেব্রাদের খুরে টগবগ উঠে এলো যাবতীয় নিঃসঙ্গ দুপুরের ধুলো সে রোদ-বৃষ্টি জলের মত দ্যুতিময় কিন্তু আশ্চর্য শান্ত হতে পারত কিন্তু সে হয়ে উঠলো নাচ তার নৃত্যপরতায় ঘটে যেতে থাকল একের পর এক দৃশ্যবিস্তার অন্ধ্র শ্যামল থেকে চোখের কাজল বন্যবৃত্তি থেকে কান্ট্রি সং, ব্লুজ, রবিগান... যাবতীয় সুখ – সুখের অসুখ জ্যোতির শব্দমালা থেকে প্রতারিত খরগোশের চোট দানপত্রে ‘জীবন’ লিখে দেয়া শিমূলের উদ্ভ্রান্ত হাওয়ায় লুট..... নক্ষত্র লগ্ন আমরা সেই থেকে তার দীপ্র আলোয় অন্ধ তুমুল