নামকরি – নদী নাকি তারা?
নামকরি তাই আমি নদী আর মুছে গেছে যারা নদী নাকি তারা? কেউ দেখ নোঙর ফেলেছে আজ সসজ্জ আলোবতী তারার টোপাজ বনিত ভিনাস আলোজ্বালো আলোজ্বালো দ্রাবক ব্যাথার আরতির সাইরেন বেজে ওঠে শুরু হয় গুপ্তচর পায়রার নিলীমা সম্মোহন ক্লিওপেট্রার শিথিল শরীর ছুঁয়ে হাওয়ারা উড়ে যায় পাখিদের ঘর এত সব পাখি জাগানোর পর হাওয়ারা ঘুমোয় নির্জনে জেগে ওঠে দিব্য আঁধার চোখতারা বিন্দুর ওপরে ঘুরে যায় নিশাচর জল অন্দরের মিহরাব থেকে বেজে ওঠে ভোর পাখি মন্দিরা, পরিযায়ী আনন্দ আগুন শঙ্খবিষ কবিতা এঁকে দিলে সান্ধ্য সারেং মেরিনার কম্পাস মাস্তুল সবশুদ্ধু দিগন্তময় নদী ভুলে যায় পথ ভোলে জলপথ বনোয়ারি মন সেইখানে ছায়াবানী সারা গায়ে মায়া চিহ্নিত হরিণ তামাটে পিঠের স্বেদে প্রত্যালীঢ় শিকারীর দেহ খরা জাগে বিলেতী বালুর শরীরে খরা জাগে ঘাম নামকরি তাই আমি নদী; নদী নাকি তারা? যার আলো পৌঁছে নাই আর যার এই তারার জীবন যে কোনো আসন্ন প্রেমের মত ক্ষণ… নিঝ্ঝুম সতৃন আলোছায়া মুখ তমোহর – জ্যোতিষ্মান্ জেগে ওঠো বানদায়ী শস্যদায়ী নদী মিসমার এপার ওপার--- সব বাঁটোয়ারা বুঝে নিয়ে পরিজনে ফিরে এসো এইখানে শঙ্খবিষ কবিতা শৈশবাবধি সমুদ্দুর...