পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নামকরি – নদী নাকি তারা?

নামকরি তাই আমি নদী আর মুছে গেছে যারা নদী নাকি তারা? কেউ দেখ নোঙর ফেলেছে আজ সসজ্জ আলোবতী তারার টোপাজ বনিত ভিনাস আলোজ্বালো আলোজ্বালো দ্রাবক ব্যাথার আরতির সাইরেন বেজে ওঠে শুরু হয় গুপ্তচর পায়রার নিলীমা সম্মোহন ক্লিওপেট্রার শিথিল শরীর ছুঁয়ে হাওয়ারা উড়ে যায় পাখিদের ঘর এত সব পাখি জাগানোর পর হাওয়ারা ঘুমোয় নির্জনে জেগে ওঠে দিব্য আঁধার চোখতারা বিন্দুর ওপরে ঘুরে যায় নিশাচর জল অন্দরের মিহরাব থেকে বেজে ওঠে ভোর পাখি মন্দিরা, পরিযায়ী আনন্দ আগুন শঙ্খবিষ কবিতা এঁকে দিলে সান্ধ্য সারেং মেরিনার কম্পাস মাস্তুল সবশুদ্ধু দিগন্তময় নদী ভুলে যায় পথ ভোলে জলপথ বনোয়ারি মন সেইখানে ছায়াবানী সারা গায়ে মায়া চিহ্নিত হরিণ তামাটে পিঠের স্বেদে প্রত্যালীঢ় শিকারীর দেহ খরা জাগে বিলেতী বালুর শরীরে খরা জাগে ঘাম নামকরি তাই আমি নদী; নদী নাকি তারা? যার আলো পৌঁছে নাই আর যার এই তারার জীবন যে কোনো আসন্ন প্রেমের মত ক্ষণ… নিঝ্ঝুম সতৃন আলোছায়া মুখ তমোহর – জ্যোতিষ্মান্‌‌‌ জেগে ওঠো বানদায়ী শস্যদায়ী নদী মিসমার এপার ওপার--- সব বাঁটোয়ারা বুঝে নিয়ে পরিজনে ফিরে এসো এইখানে শঙ্খবিষ কবিতা শৈশবাবধি সমুদ্দুর...

শ্যামা মেয়ের নামে

সজল দেশে পুড়ছে তারই শতবর্ষা শুকনো চোখ জখমি পাতায় সবুজ বিনোদ, শ্যামা মেয়ের আর্দ্র মুখ কোন মায়াতে স্নেহধারায় শ্যামার শ্যামল ভেসে যায় কাতরকণ্ঠ করুণিমা বৃষ্টিদেশের সীমানায় বাগানবাড়ির ভগ্ন দেয়াল সেইখানে কার নামলেখা ফল্গুধারায় বইছে সে নাম মন গহনের চিত্রিকা স্মৃতিগ্রাসের কলরোলে মন্দাক্রান্তা গীতিময় শ্যামার আকাশ প্রতীক্ষিত এই বুঝি হয় সূর্যোদয় চুপিসাড়ে বাসন্তিকে আড়ি পাতো মেঘ কালো মেঘ কালো-ই জল বরষায় শ্যামার দু’চোখ রাঙালো মণিকোঠায় অতীত থাকে, শপথ থাকে স্বপ্নজয় গীতিরূপের ছলোছলে নীল তরণীর ভাসতে হয় সাগরমেখলা সে কোন দ্বীপে ধনুকধারীর বসবাস অন্তকালের অপেক্ষাতে মৎস চোখের কারাবাস পুড়ে যাওয়া রাত কালো হয় পরাগযোগের উড়ানি শমী শান্তি উপশমে সঙ্গোপনের গান শুনি নেত্রকোণায় স্তব্ধ সময় ভোর জেনেছে পরাজয় রাতবিরেতে শ্যামা জাগে, অবিনাশী বৃষ্টি হয়… এই বেলা যে বিমনা খুব বারেবারে নামডাকা পথভোলা কার বনগহনে নামতা শেখার সুর রাখা

ফিরে দেখা

স্বপ্নের শরীরেও এক স্বপ্ন আছে পাতালঅন্ধকার মায়া ঠিকানায় গেলে ডে-ড্রিম মরফিনবেলা সন্ধ্যালীন... সাগরের নীল থেকে দারুচিনি ঠোঁটে উড়ে আসা সমুদ্রপাখির পালক থেকে জন্ম নেয় আততায়ী তীর মণিকাচ মিত্র দ্রোহের প্রণাশ – এভাবেই পৃথিবীতে শুরু হয়েছিল শোকপ্রথা প্রায়াম-এর অশ্রুপ্রাপ্তা স্বদেশ মৈথিলীর প্রতিরোধ তোরঙ্গ খোলে চিচিং ফাক নিশানায় নির্ভুল করবেট রাইফেল তাক করে ভুলে যাওয়া ক্যাফেইনের ঘ্রাণ ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে পাখির পালক বাঁধা তীর জাফলং ঝাউ, নীলগিরি পাহাড়ে সূর্যমেঘের এনামেল, রুহানির গান – এইসব অবিদ্ধ থাকে শিকারী জানে না সুগভীরে নীলে আরও নীল জাগে বাহামার সমুদ্রের মত ডীনস ব্লু’র গর্ভেও আছে বিরানা শংখমুক্তার দেশ, স্বপ্ন মণিকা্‌র, বিসর্জিত বিচরণ। স্বপ্নের গর্ভেও স্বপ্ন আছে – সন্ন্যাসসুন্দর উত্তরের আকাশে উদীচীর আলো উঠে এলে পুষ্পভাষায় জাগে রাত্রিপাখির সেরিনেইড ধুলির তোরঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসে সুপ্রাচীন অর্কিড দাহের প্রমিতি নেই, আগুন বুঝেছে কবে চিরধীর শান্তমতী কারো পৃথিবীতে অগ্নিরূপন কত বড় অপরাধ, মায়াবাড়ি দীঘি ঘাস কোথায় জ্বলতে নেই? স্বপ্নশরীরেও মিশে থাকে স্বপ্নফসিল আরক্ত আকাশে থাকে গোধূলির রঙ এরকম পালা জ্বরে মি...