শরতের কবিরা
তবু কেন স্পর্ধিত প্রাণাঙ্কুর আর সব জীবননাম প্রবল প্রাণে জেগে জেগে ওঠে পাতার খেয়াল থেকে ধেয়ান ধেয়ান থেকে কান্নাঘর ... তার দেয়ালে লেখা আছে- মনোনিম -- আদেলিনা দূর কোন গম্ভীর হ্রেষা যেন ডেকে আনে পড়ন্ত বেলা উপমারা ক্ষয়ে গিয়ে রাত নামে ... অন্ধকারে কী দেখ, অন্ধতারা? তুমি তো হারিয়েছ চন্দ্রকাল এ সময় পড়ো মনে ধ্রুববন্ধু পড়শি ছিল যার ত্রিবেণীর স্রোত মালঞ্চে মুদ্রার মায়া কি নূপুর কি বিষাদ হাসি রাত ঝনন ঝনন সে এক অচিন পায়েল সে এক এমন তরল চোখ নীল নিলীন কাচের কফিন থেকে শোচনা ছড়ায়; দেখে, শরতের কবিরা সব ডুবে আছে প্রার্থনায় পুরাতন লেখনীতে, মাধুর্যের মোহে- ঋতবান যারা এঁকে গেছে সূর্য গরিমার চৈত্র হরিণের করোটির ভেতরের নিরীহতা হৃদয় তৃণে তারা আরও লিখে গেছে -- ‘সহসাই ছেড়ে দেবে তারে কেন চায় মানুষ!’