পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শরতের কবিরা

তবু কেন স্পর্ধিত প্রাণাঙ্কুর আর সব জীবননাম প্রবল প্রাণে জেগে জেগে ওঠে পাতার খেয়াল থেকে ধেয়ান ধেয়ান থেকে কান্নাঘর ... তার দেয়ালে লেখা আছে- মনোনিম -- আদেলিনা দূর কোন গম্ভীর হ্রেষা যেন ডেকে আনে পড়ন্ত বেলা উপমারা ক্ষয়ে গিয়ে রাত নামে ... অন্ধকারে কী দেখ, অন্ধতারা? তুমি তো হারিয়েছ চন্দ্রকাল এ সময় পড়ো মনে ধ্রুববন্ধু পড়শি ছিল যার ত্রিবেণীর স্রোত মালঞ্চে মুদ্রার মায়া কি নূপুর কি বিষাদ হাসি রাত ঝনন ঝনন সে এক অচিন পায়েল সে এক এমন তরল চোখ নীল নিলীন কাচের কফিন থেকে শোচনা ছড়ায়; দেখে, শরতের কবিরা সব ডুবে আছে প্রার্থনায় পুরাতন লেখনীতে, মাধুর্যের মোহে- ঋতবান যারা এঁকে গেছে সূর্য গরিমার চৈত্র হরিণের করোটির ভেতরের নিরীহতা হৃদয় তৃণে তারা আরও লিখে গেছে -- ‘সহসাই ছেড়ে দেবে তারে কেন চায় মানুষ!’

সুদীপ সান্যালের কাব্যগ্রন্থ ‘স্ফিংক্স ও অচেনা অর্কিডেরা’ নিয়ে কিছু কথা

ছবি
কবিতার নিকটে উপনীত হওয়া বেশ কঠিন একটি কাজ। নতুন নির্মাণের ভাষায় উপনীত হওয়া আরও কঠিন। কিন্তু তাতে যদি থাকে আত্মঅন্বেষণ, বাস্তবতাকে প্রশ্রয় দিয়ে অনুপস্থিত বাস্তবতার স্বপ্নময় রূপায়ণ; তবে ঐ কাব্যভাষায় পাঠকের সমর্পণ ছাড়া আর গতি থাকে না। স্বরকে ভাষায় আর সে ভাষাকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গেছেন সুদীপ। এখানেই তার স্বতন্ত্রতা। অজস্র লিখিত কবিতায় ব্যবহৃত ভাষা যেখানে অনুপস্থিত, ভাষার পরম রূপায়ণে তাই পাঠক পান ভিন্ন স্বাদের কবিতা, কবিকণ্ঠ হয়ে ওঠে স্বতন্ত্র একটি স্বর। সুদীপের কবিতায় অন্যসবকিছুর সাথে যা দৃশ্যমান তা হোল কবিতার শরীরে শরীরে চোরাবালি আর অন্ধগলি তৈরির শৈল্পিক প্রয়াস। যেখানে পাঠকদের জন্য এক স্বাপ্নিক বিহ্বলতা রচিত হয়। পাঠকের নিরন্তর খোঁজ চলে সেখানে- শাশ্বতের খোঁজ। আধুনিক কবিদের জন্য আকাশ যেন ভেঙে পড়া ছাদ, জীবন মানেই কাতরতা, বন্দীত্ব আর এই জগৎ যেন যন্ত্রণার ছায়াচিত্র। ব্যক্তি এখন সর্বার্থে মুক্ত। ঈশ্বর, প্রকৃতি, সমাজ আর সৌন্দর্যের পরম ডাককেও সে আর এখন গ্রাহ্য করে না। অবশ্য এই মুক্তি এক জেলজীবনও বটে। তবে সুদীপ তার কবিতায় এই বন্দীদশাকে অগ্রাহ্য করেছেন। তার কবিতায় অবধারিত ভা...