পত্রালিকা - ২
১. নাকি অনিবার্য ছিল এমন ভোরে শোকের পোশাক, চতুর ফ্যালকন-- তার নিশ্চিত ছোঁ ! অথচ এমন অমল ভোর এখনও অবুঝ, বাগানে বাগানে তার আঙুরলতার মোম- প্রাণ দিয়ে সুরভিত। এখনও তুমি মনে কর, হঠাৎ শূন্য ঝিলে নীল নৌকো দেখে ফেলেছিল আমাদের অসতর্ক চোখ? ২. এত যে কাছের ছিল পাহাড়গন্ধ মনের আপন অভিমান... সব বোধ শূন্য হলে-- শেষ হয় দোয়েলের নীলিমা সাঁতার সব নাচ মুছে ফেলে চুপকাঁদে মনের হারেম সব বোধ শূন্য হলে শূন্য হলে প্রেম। ৩. এই চোখের পলক পড়ার মত নৈঃশব্দ্য, আনন্দা তোমার মুখশ্রী মনে পড়ে-- রাত্রির মত বিনত নক্ষত্রের শাল জড়ানো অন্ধকার তার নিচে এই ঘুমদিঘী, এই মায়ার মরাল... তোমার মুখশ্রী মনে পড়ে, আনন্দা-- নিয়তির মত ভ্রুক্ষেপহীন। ৪. সারাটি দিন স্তব্ধতার কোলাহল, বিকেলের চায়ের মত অলস বেলায় প্রতিশ্রুত বেলির বাগানে বেজে ওঠে সুর-- সেকালের লুপ্ত চতুর্দোলার আলপনার মত হারানো হারানো; রাত আসে- এই মাঘে জোনাকির করুণ আলোয় ফুটে ওঠে কার নির্জন বুক, এক মাছরাঙার উল্কি... ৫. প্রাচীন কথার কাছে ফেলেছি যে চোখের নোঙর, নিজের ছায়ার সাথে করেছি দুঃখবিনিময়। মুখ ফিরিয়ে আছে যে অনন্ত সন্তুর তাকে আমি শুনে যাব মৃত্যুর আগে।...