পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পত্রালিকা - ২

১. নাকি অনিবার্য ছিল এমন ভোরে শোকের পোশাক, চতুর ফ্যালকন-- তার নিশ্চিত ছোঁ ! অথচ এমন অমল ভোর এখনও অবুঝ, বাগানে বাগানে তার আঙুরলতার মোম- প্রাণ দিয়ে সুরভিত। এখনও তুমি মনে কর, হঠাৎ শূন্য ঝিলে নীল নৌকো দেখে ফেলেছিল আমাদের অসতর্ক চোখ? ২. এত যে কাছের ছিল পাহাড়গন্ধ মনের আপন অভিমান... সব বোধ শূন্য হলে-- শেষ হয় দোয়েলের নীলিমা সাঁতার সব নাচ মুছে ফেলে চুপকাঁদে মনের হারেম সব বোধ শূন্য হলে শূন্য হলে প্রেম। ৩. এই চোখের পলক পড়ার মত নৈঃশব্দ্য, আনন্দা তোমার মুখশ্রী মনে পড়ে-- রাত্রির মত বিনত নক্ষত্রের শাল জড়ানো অন্ধকার তার নিচে এই ঘুমদিঘী, এই মায়ার মরাল... তোমার মুখশ্রী মনে পড়ে, আনন্দা-- নিয়তির মত ভ্রুক্ষেপহীন। ৪. সারাটি দিন স্তব্ধতার কোলাহল, বিকেলের চায়ের মত অলস বেলায় প্রতিশ্রুত বেলির বাগানে বেজে ওঠে সুর-- সেকালের লুপ্ত চতুর্দোলার আলপনার মত হারানো হারানো; রাত আসে- এই মাঘে জোনাকির করুণ আলোয় ফুটে ওঠে কার নির্জন বুক, এক মাছরাঙার উল্কি... ৫. প্রাচীন কথার কাছে ফেলেছি যে চোখের নোঙর, নিজের ছায়ার সাথে করেছি দুঃখবিনিময়। মুখ ফিরিয়ে আছে যে অনন্ত সন্তুর তাকে আমি শুনে যাব মৃত্যুর আগে।...

পত্রালিকা - ১

১. শীতের সময় ওড়ে পাখির ঝর্না থেকে নেমে আসে গোলাপী কার্ডিগ্যান ডাকে, ঐখানে ক্যাম্পফায়ার, এসো ২. মেঘলাচোখের ছেলে সুর বেঁধেছে ভীষণ গোপন একলা শোনার গান শুনেছিল যে সেই তো আপন ৩. সহস্র রাত্রিবাণে অন্ধ হওয়ার পর জ্যোৎস্না চোখের সাথে চেয়ে বলেছিল চেয়ে থাক কেন, আলোর চাতক? ৪. এই সন্ধ্যায় হিমসরোদের তান চাপা রাত্রিতে মিশে যাবে এক গোপনবাসীর কাছে সেই কান্না লেখা আছে ৫. পিয়ানোর রিডে আড়ষ্ঠ তোমার আঙুল, কেন দাও শীতের দোহাই? সুরের বিরহ বড় লাগে রাত ফুরোবার এত আগে... ৬. নদীর কাছে গেলাম নদী তো আপনহারা ভাসিয়ে নিলো এই চোখে ঘর করা হরিণ তনিমা একাশ্রিতের স্পর্ধা, ছায়ানটের বোল ... হারিয়ে যাব বলে নদীর দীক্ষার্থী হলাম গোপন দেরাজ খুলে উড়িয়ে দিলাম সব পত্রালিকা- চন্দনার পাখায় পাখায় ৭. একটি স্নানের নাম শাওনচাঁপা ৮. স্মৃতির বন্ধু তারা, মৃতের ছবির মত নীরবতায় আঙুলে আঙুল রাখে কত প্রীতি আর অভিমান ! ৯. এই পথ হারাবার সুধাময় কবিতার যার কাছে ঠিকানা হারিয়েছি বারবার ১০. একটা সন্ধ্যা মন্দিরের দীপে সিঁদুর পরা মেয়ে তার আঙ্গিনায় আরতির কাছে রেখে এসেছি সকল মুদ্রা শত পাপড়ির বাঁক এখ...