পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পৌনঃপুনিক

আজ ভোরের পাঠশালায় হঠাৎ ছুটে এলো এক শব্দভেদী পাখির শিস রূপের মানুষ তুমি পোষাপাখির ঠোঁটে বুনে দিয়েছিলে একদিন বুনোফুলের ব্যালাড সে তবু আজীবন বেহাল বৈরাগী সে তবু লেবু ঝাড়ে হিম হয়ে থাকা লুপ্তগন্ধ জাতিস্মর পাখি, তার মনে আছে হাবেলির গুপ্ত কুঠুরির যাপন দেরাজের আড়ালে থাকা গুপ্তির ক্রিড়া তার মনে আছে মায়াবীর কাছে বেশুমার পড়ে ছিল কত কাতর প্রসাধনী আর মণিকারের হাহুতাশ তার মনে আছে অভিসার কোচোয়ানের খুনের বৃত্তান্ত তার বর্ষা পাওয়া কান্না পাওয়া অবাধ অরণ্যে আজো বনমালী রূপবাঁশির ঝিলিক আদিম সুরের অ্যালেগ্রি পুরনো ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে ট্রোজান ঘোড়ায় চাপে আরো আরো রক্তের দিন

সন্ধ্যাদশমী

আজ শুধু যাই যাই সন্ধ্যাদশমী পথভোলার উড়োচিঠি শেষ আলো মেখে উড়ে আসে রক্তসিঁদুর লাল তিতাসের পাড়ে ধুলোঝড়ে রোজকার খবরাখবর, বৃত্তান্তে শেষের প্রচ্ছায় আজ শুধু যাই যাই বিরানার চর চলাচলে নিঃসঙ্গ লণ্ঠনের একটি আলো জ্বলে শান্তিপুরবাসী ও আমার পরিখার ঘুম তুমি কত জখমেও দুর্বিনীত এলে কোন্ মন্দিরায় বেজেছিলে নিদ্রাকুসুম সঙ্গোপনে মূর্ত মায়ার পর্দা দিলে খুলে এ সফর রাতের সফর ফন্দি-ফিকির আমি ভুলেছি সকল কেউ জানেনি ফুল কাটা মন্দির উঠোনে কার পায়ের রক্তচিহ্ন ছাপ চলে গেল বিরানার চর কেউ তো জানেনি আড়াল কোথায় কোন্ বিজনের মুখ ধূপ থেকে ছাই নিলো শোকপুষ্পের নির্যাস নিয়ে বিসর্জিত হলো এই সন্ধ্যাকাল বিমনা তিতাসে

সাপে কাটা

লছমির মৌ-পলাশ ঠোঁটের দিকে তিরতিরিয়ে উঠে এসেছিল যখন গুপ্ত গর্ত থেকে অবিশ্বাসী খড়িশ হায়, ভাবুনে কিশোরী ! মিথিলায় তখন ছিল না কোন গারুদার ভ্রুক্ষেপ এমনই এক সুপ্তিদায়ী সময়ে দুর্নিবার বিষ নিয়ে - হানিচেস্ট; একটা দুধরাজ তার চেড়া জিভ বার করে সন্তর্পণে এগিয়ে যায় ফু্লেশ্বরী নদীর মোচড়ে মোচড়ে দুলে ওঠা পানশি মনে রাখে রাত্রিডোর শিরশিরে অনাঘ্রাতা বুকে পুষে রাখে আজীবন তীব্র দহন মাঘ