পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চোখের ভেতর বৃষ্টি পুষি চোখের ভেতর রোদ

যাযাবরও শিখে গেছে স্থির দৃষ্টিপাত রাত এসেছে শিকারী রাত দিনের কিস্তিমাত সুবর্ণ একতারায় বাজে অলৌকিকের সুর ময়ূরপঙ্খী রাতের নীলে সূর্যদীঘলপুর সোনারচুমু জোনাক-পাখি প্রগাঢ় বন্ধন শাপভ্রষ্ট শস্যখামার বেণুবনে মন সন্ধ্যারেখা সূচিকর্ম সব জড়িয়ে থাকে রূপান্তরে আগুন থাকে; পোড়ার কষ্ট থাকে ওষ্ঠ যদি জানতে তুমি হীরের বুকে বিষ কন্ঠলগ্না দ্রাক্ষালতার বয়েসটি উনিশ ! উনিশ বছর মল্লার গান উনিশ আষাঢ় নদী রূপের নগর উনিশ বছর, উনিশ বছর – যোগী ছায়াসময় কোমল আগুন আঁচ লাগে না কার চাঁদফোটনে আগুন জাগে উনিশ বছর যার জপমন্ত্র চোখ বন্ধ ঠোঁটে পুষ্প বিষ আনাড়ি ভ্রূভঙ্গি তোলে সুতীব্র উনিশ মরু নদী তোমার যদি জল লাগে না গায় মেঘার্ত হও, নয়তো না হও, কিচ্ছু আসে যায়? ডাগর গদ্য জীবন যাপন, জীবন যে বিবাগী রাত প্রহরী তবু আমি দিন জাগি রাত জাগি দিন জাগি রাত জাগি আমি কান্তজী অঙ্গন সিনোরিতা টেরাকোটা হাজারো দর্শন নিরূপিত আকাশবাড়ি মেঘরৌদ্র চোখ চোখের ভেতর বৃষ্টি পুষি চোখের ভেতর রোদ

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার

এই বন্ধ্যা শ্রাবণে আড়ং-এর লেমন গ্রিন ভিড় থেকে পিয়ানোর রিড ছুঁয়ে নেমে আসে ছুটির ফতুয়া। এইসব প্রথা বিরুদ্ধ বৃষ্টিহীন বর্ষা দিন গুলিতে পা বেয়ে উঠে আসে পৃথিবীর তাপ। মানিক মিয়া এভিনিউ সরু হয়ে আসে আর রাস্তার অধুনা ল্যান্ডস্কেপে ফুটে ওঠা সযত্ন ঘাসফুল নাগরিক গ্রীবায় নিষ্ফল মেখে দিতে চায় পানামের ঘ্রাণ - ফতুর বাগান। এক সময় বর্ষা ছিল ফুলেল শাহবাগ থেকে ফ্রোজেন কাকরাইল অব্দি বিস্তৃত। সব আপেল পিক্সেলস চোখের গভীরে নিয়ে বৃষ্টির ব্লুজ, মেপল রিবন চুপ ঘুম নগরের পথে স্পোর্টস সাইকেল অপেক্ষা কখনও নয়...

খড়িপাতা

মৃত্যুনীল শান্তির মত এখনও একলাটি হয়ে যায়নি দুরপনেয় চুম্বনের দাগ তন্দ্রা নিমীল রাতে অন্তকাল নেমে এলে ভ্রমণ পিপাসায় জাগে ভুলে যাওয়া কোন এক রাতের স্টেশন। রূপগাড়ির চাকায় ঝিকঝিক ঝিকঝিক… ছুটে ছুটে নিতে চায় ভ্রমণ রোমাঞ্চ সঙ্গপ্রিয় পক্ষিরাজের মত ছুটে ছুটে হাত ধরে হাত ধরে সে ভ্রমণ অর্কেস্ট্রার মত বেজে ওঠে আর উড়ে উড়ে হিমেল পাখায় শ্রুতি সীমানায় চলে আসে গ্যাংটক - ‘মাধুরী বারের’ সেক্সোফোন ডেন্সবার্গ বিয়ারের ফেটে পড়া উল্লাস নির্লিপ্ত মোহন্তের মত বিবাগী গেরুয়া গায়ে পাহাড়েই চলে গেছে ভোরবেলা সব; প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের শোকেসে সমকালের পরিব্রাজক মেঘ তার খোঁজ পায়নি কোথাও আলোড়িত বহিরঙ্গ দেখে ভুলে যেও না বিচ্ছুরিত নীল জাগা আকাশে আকাশে রক্তক্ষয়ের ইতিহাস, শীতবৃক্ষপাতার প্রাণপণ আমরণ আলোকদোহন অনাঘ্রাত ভোর বোধাতীত সান্ধ্যভাষায় ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে মহাস্থানগড়ের অবারিত বৃষ্টিধূসর মাঠে মাঠে অপরাহ্নের আলোয় মিশে গেছে – উৎকণ্ঠিত, অনুতাপময়; আর তার মাঝে তার-ই মাঝে চলে কার আত্মসঙ্গোপন রাতানুগমন ! সে কি তার পথ ভুলে যায়? বার বার, বারেবার ভাস্বরতার পথ ঘুমুনে টানেলে ডুবে যায়? ‘এক’ ভগ্নাঙ্কে ভেঙ্গে গেলে বড় অনুতাপ হয় শীতবৃক্ষ ...

অনুবাদঃ “আফরি” –“ the most beautiful one!”

ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খাঁন এর “আফরি” –“ the most beautiful one!” গানটির কথা নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিলো না।উসকে দিলো ব্লগার আবদুল্লাহ আল মনসুর এর ওস্তাদজি’র ওপর দেয়া রিসেন্ট পোস্ট। খুঁজতে খুঁজতে গানটির ইংরেজী অনুবাদও পেয়ে গেলাম। যা বুঝতে পারলাম তা হচ্ছে অতুলনীয় উপমায় ভরা অসাধারণ কথামালায় গাঁথা এই “আফরি”। লিরিসিস্ট, দ্যা গ্রেট জাভেদ আক্তার। নীচে এর মূল কথাগুলো তুলে দিলাম। সেই সাথে অদ্ভুত সুরের সেই গান। আমি একে অনুবাদের লোভ সামলাতে না পেরে একটু চেষ্টা করলাম। রস আস্বাদনের জন্য আগ্রহী পাঠকদের প্রথমে গানটি একবার শুনে নিতে অনুরোধ করছি। ভিডিওতে ইংরেজী অনুবাদ ভেসে আসবে। ক্লিয়ার হয়ে যাবে অমৃত কথাগুলো। তারপর আমার অনুবাদ ধরে ধরে গানটি আবার শুনুন। সো, লেটস স্টার্ট ! husn-e-jaanaaN kii taariif mumkin nahiiN It is not possible to praise the beauty of beloved. aafriin aafriin O the most beautiful one! tuu bhii dekhe agar to kahe ham-nashiiN Even if you see my beloved, you would also say aafriin aafriin O the most beautiful one! aisaa dekhaa nahiiN Khuubsuurat ko’ii jism jaise Ajanta kii muurat ko’ii jis...

নৈঃসঙ্গ্যের হাওয়া

দেখতে পাও? ছাই চড়ুই এর সৌহার্দ্য, রাতবিরেতে স্পন্দমান বুকের গভীরে এখনও ঘুরতে যাও? ঐ বাজনার ধুন নিমজ্জিত সূর্যের মত নদীময় সন্ধ্যা শরীরে রয়ে গেছে আমি সেই জলাভূমির সহবাসী তক্ষশীলার কারিগর বর্ষার জলময় ব্যস্ত সময়ে আমি রাতবিরেতের শ্রুতলিপি লিখে রেখেছি মুছে ফেলেছি তনুর তেজাব মার্জনা করে গেছি সব অপরাধ। এখন বৃষ্টির এই বন আমার স্বরাজ। রূপোর জলে লিখে রাখি অদৃষ্টময় যমুনা সোয়াশ; মুঠোবন্দী করে ফেলি স্বপ্নবিমুখ শাদা স্বপ্নসারস চুমুকে সাবড়ে দেই গোধূলির রূপ গন্ধ রস মুক্তাশুক্তি ভাঙ্গি - এ আমার ক্ষত্রিয় সাহস একটা চোখের কুঁড়ি ফুটিয়ে তুলতে সশ্রম দিনের আলোয় অথবা রাতনীলনির্জনে তক্ষশীলার মত অহর্নিশ গড়েছি সেই কিংবদন্তীর নগর কত সাদর অপেক্ষা ! মেঘরাত কেটে কেটে স্বপ্নাদ্য সোনার মাদুর, তারপর তারার ওপর ক্রমশ জেগে ওঠা ভূপালী ভোর চুলের প্রত্যন্তে লক্ষ্ণৌর ভুলভুলাইয়া ঘুরে ঘুরে, ডেকে ডেকে জন্মনাম যমুনা চরের শণঘরে অলস দুপুরে বৃষ্টি নয় নদী নামা নখের আঁকশিতে নামিয়ে আনা স্যাফ্রন স্নায়ুফুল জলজবাতাস তবু এ কেমন নৈঃসঙ্গ্যের হাওয়া? থিতানোবিষাদ, তবু বারবার মুখ ফিরে চাওয়া ! আজ আষাঢ় যুবতী যত খুলে দিয়েছে নাগরিক বিউটিপার্লার চন্দন ...