পোস্টগুলি

মে, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আঁখিপল্লবের তৃণে লেখা নাম

চুমকির চারুতা থাকে স্নানের আগে বহতা আবেগ জলের তোড়েই ভেসে যায় ভেসে যায় তার সাথে জলের নিষাদ হিমায়িত উষ্ণতা পড়ে থাকে পড়ে থাকে তারাবাজির লালতপ্ত তার বালকের হাত জুড়ে ছাই ফুৎকারে নিভে গেছে পরমা প্রদীপ আমি শুধু জ্যোৎস্না জাগাই পানকৌড়ির পথ ভুলে যাওয়া জলদাগ ধরে ধরে পুনর্বার রাতের ভেতর - ভেসে গেছে ডুব সাঁতার রাত্রিরঙিন অন্ধকার। আশ্রয়বর্জিত শিমুলের বেখেয়াল আর তার দীর্ঘশ্বাস মুক্তি নিলো না টেনে নিলো রাতরুদ্ধ গুহার বাতাস উচ্ছন্নের জ্বেলে দেয়া আগুন-ধোঁয়ায় দিশাহীন মধুপের ফিলহাল পুড়ে গেছে হাওয়ার পেখম সূর্যমুখর দিনে - মুক্তছন্দ কবিতার বেনোজলে কৃষ্ণতিথির আগমন লতা গুল্মের দুষমনি - দোল দোল দোলনাও থেমে গেছে ; স্মৃতিলেখা সমুদ্র মৎস্যকন্যার দিল্লাগি - চিনি, সব চিনি নক্ষত্রমুদ্রিতা, বুঝে নিতে এক একটা ভ্রুক্ষেপ জ্বালিয়েছি চোখের পাতার মশাল হাতসাফাই করে তুলে নিয়েছি রাত্রির পোখরাজ তারাবাজি খেলতে গিয়ে অনভ্যস্ত হাত পুড়িয়ে ফেলেছি মীরাবাঈ, তুই তোর আঁখিপল্লবের তৃণে – সবুজপ্রভা, চতুরখেয়াল মোহিনীবিদ্যে জানা লুকায়িত লজ্জিতা ভোর, পদ্যমাখা বঁধুয়ার চাতুরী অথবা গদ্য দুপুর না কোনো ভোরের শব্দে নামা ছু্টির বৃষ্টি - মনমানা মুনিয়...

আঙ্গুল ছুঁয়েছে আজ অধীরা সরোদ

জলমাতাল রেইন ফরেস্টে মেঘের লাবণ্যআলো ছুঁয়েছি যেদিন, দেখেছি চৌচির মরা বৃক্ষবাকল সময়ের ক্যাকটাস অসময়ের বেলিগন্ধা নার্সারি, স্মৃতিচিহ্নের আলোহীন ল্যাম্পপোস্ট গুলো প্রহরীর মত দাঁড়িয়েছে দূরগামী পথে যেইখানে রয়ে গেছে মায়াবাদ সংগোপিত ভ্রমণ আরোপিত অন্ধকার উদ্ধত বিরহবিলাস। একটা সমুদ্ররাত এখনও সুন্দরের বর্ণপরিচয় হয়ে আছে। যতই পরিখা খুঁড়ি বিস্মরণের – হননের যতই ধরে রাখি সুমিত আবেগ চুপমারা আজ এই সুবৃষ্টি দিনে ফিনিক্স পালকের বজরায় ভেসে এসেছে মৃত্তিকার হিরামন, কলঙ্কিত মৌহারী বাঁশী। আমাদেরই অনুগামী হয়ে ওঠে প্রসন্ন হয়ে ওঠা আজ এই প্রথাগত দিন, ঘরোয়া কথার খুঁটিনাটি দু’জনার সংহিত গ্রহদোষ প্রতিবেশীর ফিসফাস। আঁধারার্থ ভুলে যায় বহুরূপী মেঘরৌদ্রমন – কবিতাহীন দিন আর মন্ত্রপূত মাদুলি ছুঁড়ে ফেলি এ কোন বিসর্জিত জাগরণ ! ঘোর লাগা পথে আজ চিরল সন্ধ্যা হারিয়েছে সুন্দরের উপনাম হয়ে গেছে এই প্রাঙ্গন; নখরঞ্জনীর ঘ্রাণে সুস্বপ্ন–দুঃস্বপ্ন একাকার হয়ে গেছে আজ এই গোধূলি বেলায়, দোদুল দেবদারু জেনে গেছে সুরদোলা হাওয়ার ডাকনাম পাথর দু’চোখে আজ বসে গেছে বৃন্দার বনিতার চোখ - বিনীত আকাশ রূপ-রেখা। ফিরে এসেছে স্থিরঅনুভব - পূর্বরাগের আড়চোখ ক...

পুনর্জন্ম

আকাশ জ্বললে আমি দ্রুত ছাদ থেকে নেমে পড়ি চাঁদকণা উড়ে আসে বাতাসে। জানালার ফ্রস্টেড গ্লাসে শিউলির গালছাপে হাত বুলিয়ে দেই; সুন্দর নিষ্ফলা বড় রাত্রি জাগিয়ে চলে গাছ, নদী, শিউলির তাথৈ বেদনা নৈঃশব্দের কোলাহলে সজাগ ঘুমের প্রেরণা জেগে থাকে জেগে থাকে আদিম আগুন, জেগে থাকে ঐ দূর থেকে ভেসে আসা রাতের ট্রেনের হুইসেল। ভাঙ্গাচোরা শুরু করে ছায়ার নেশার অভিশাপ। জীবনের মৃত্যু হয় না তো, হারিয়ে যায় শুধু। মুখর নির্জনতায় অন্ধকার রেখে যায়, দূরতার হাহাকার – তার দেশে উড়ে চলা ঘূর্ণি মেঘের তুরপুন, গভীর - গভীরতর রাত, পায়ে প্রলয় ঝুমুর--- অনভিজ্ঞ হাত নাহয় পাতাই স্পর্শ করেছিলো বেখেয়ালে তাতেই ঘুমিয়ে গেছে সবুজ প্রহর - লজ্জাবতীর মুখ! সহিষ্ণু ভোরের আলোয় ধীর লয়ে খুলে যায় বীজকোষ কোমল পাতার মুখে আদি সবুজের ছাপ আমি চিৎকার করে উঠি, শোনো! গত রাতের অন্ধকার এই শমী সবুজের আলো দেখে যাও, শিশু সূর্য গড়িয়ে পড় ফুলঝুরি হয়ে; কে এসেছে দেখে যাও চোখের আলো - অতীত হেসেছে দেখে যাও।