পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

খোঁজ

অহোরাত্র তুই বন্ধুর খোঁজে - চিকচিকে রোদ্দুর মেখে নেবে দুই চোখ তোর চোখে চেয়ে- ঠিকানার হয়ে যা সমুদ্র হয়ে যা এক ফোঁটা মেয়ে ! দেহ-মন অনাত্মীয় হলে চুরমার হয়ে যায় প্রথাগত দিন পুড়ে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় রাত, কষ্টাবদ্ধ হৃৎপিণ্ডে থেমে যায় ধামনিক স্রোত; বুলেট বোমার ভয়ে জালিয়াত জাদুগর বলে বলে অভিশাপ দিয়ে যায় ঝলসানো রুটি হাতে মধ্যবিত্ত মন। মরিয়া পানোৎসবে তাই বন্ধুর খোঁজ চলে সন্ধ্যারেখার কাছে ডুবে যায় চোখ রাত্রিসময়ে চলে তারার জরিপ স্নিগ্ধ ভোরের দিকে মুখ করে সেরে নেই শুদ্ধ প্রণাম। মুক্তিকামী মিছিলে যায়নি তো মিতাচারী আজ ! আড়ি পাত মেঘ, শুনে রাখ্ ছন্দবিয়োগ বোধ; পুড়ে যাওয়া রাত, দেখ্ দগ্ধফসল ছলাহতের জন্মবসতি দেখে যা। উড়োচিঠি কোনোদিনও কোনোখানে নেয়নি যে নির্জন ক্যাফে'র খবর ফিরে এসে বারবার ঘুরে গেছে জালিয়াত মেঘ, অদূর আদর আলাপী ঠোঁটের কাছে খুঁজে ফিরি কিছু কিছু আপন আলাপ - রুধিরাখ্য মালা দোলরঙা দিন মেয়ে বরষার বিজন মাদক; বৃষ্টিই হয়ে যা কোন এক সজল দেশের কাছে রয়ে গেছে আমারই শমীশৈশব, শোকবর্জিত রূপকথা।

উচ্চারণ

আর কিছু বলার নেই, উপচে ওঠা আলো ধরেছি করতলে তাই অপরাধী আমি, লা-জওয়াব ! ঝকমারির দুনিয়ায় তাই শ্মশানবন্ধু চিনে রাখি আরোপিত আঁধারে কিংবদন্তী না হই - রৌদ্রের ঘ্রাণ চিনে রাখি শুধু আমি বুকের স্বদেশে অশ্রু-হাসির চতুরালি ভুলে গিয়ে কাঁচুলির স্বেদবিন্দুর প্রতারণার প্রাক মুহূর্তে ধরে ফেলি দীওয়ানগির বজ্রশায়ক কানপেতে শুনে নেই গায়েবী দ্রিমিকি আর এই ওষ্ঠনির্জনে উঠে আসে বাস্তুসাপ দাঙ্গাবাজির দুঃসময় বহুরূপী মেঘ একটি স্তব্ধকাল। আর আমি কী বলব ! তীরবিদ্ধ সময় থেকে টোকা মেরে সরিয়ে দিয়ে কিছু সংক্রামক প্রহর আমাকে ধার দিও। তোমার নহবতখানার মেহগনি কাঠের রেহেল থেকে তুলে এনে আমাকে দান কোরো দ্রবিণ কবিতা অঙ্গারের পুড়ে যাওয়ার আহ্লাদ। নিদ্রানাশী সীমিত আদর ছুঁড়ে দিও কিছু আমি স্কুলভাঙ্গা বালকের মত ছুটে গিয়ে ঠিক তুলে নেব সেইসব ক্ষমাহীন অনুরাগ। কোন এক ফুসমন্তরে ভুলিয়ে দাও আঁধারার্থ একদিন ধার দাও একটামাত্র প্রার্থনার সকাল মুঠোবন্দী স্নিগ্ধোজ্জ্বল বেলা আর আমি ভুলে যাই সর্বশুন্যতাবাদ লখাই এর বিষপরিণতি। দলছুট পাখির ডানায় তুমি নিয়ে এসো অপসৃয় জোছনার রঙ চিলেকোঠার স্বল্প অবসর অনাবাসিক রাত্রি যাপন হুহুবুক মেঘার্ত আকাশ থেকে নে...

বৈশাখী চিত্রিকা

সব শেষ হয়ে যায়নি আজো এই যে আমার চৈত্র উজল দিন সীমাহীন প্রশ্রয় দিয়ে রাখে – তৃষ্ণার পানের আমার অন্ধকার গুন্ঠিতাকে উন্মোচনের গুলাবি নেশায় বুজে থাকে। এই একেলিয়ানা শাদা ফুল কাটা উড়ানি যেন --- উড়ে যায় ফুলটুকি পাখির মত। আমার এখন আর আরকিছু নাই আমার ছায়ার আঁধার ঘায়েল করেছো তুমি চৈত্রের মনদোলা আলো আমাকে ফেরানোর আর কোন গুপ্তমন্ত্র কিছু নাই। জল-স্থল-অন্তরীক্ষে প্রত্যুষরঙিন আলোস্নান শেষে পাতাবাহারের প্লাবনবিশুদ্ধি ছেয়ে যায়, পুষ্প তার বৃতির চোখে লাস্যতার জজবা ধরে রাখে,- তার চেয়ে অর্থময় জাগরণ আর কিছু নাই। বলেছি তো, সব শেষ হয়ে যায়নি আজো সীমাহীন মায়া নিয়ে আজো জ্বলে চিত্রদীপ সুরের প্রহর নিয়ে বাৎসল্য ফিরে আসে এই যে আমার চৈত্র উজল দিনে নিহত শুদ্ধ মন প্রেত হয়ে ঘোরে; অনন্ত জিজ্ঞাসা নিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া দু’চোখ তবু জ্বালায় পোড়ে না - ঐখানে ঝিলমিল করে ওঠে আজ এই চৈত্রের রোদ শিশু বৈশাখের অস্ফুট আধো কথা। আগমনী দিনে দেশাল সুন্দরের সবুজ ডুরিয়ায় এঁকে নিলাম আজ তাই বৈশাখের চিত্রিকা যোগীর কুটিরের দরাজ কাওয়ালির মত নেমে আসুক জৈবনিক দিনাতিপাত তরঙ্গিম সুর নেচে যাক ছাতিয়ায় - ও লাল মেরি পাত রাখিও ভালা ঝুলে লালান্--- এরকমই আমি আজ ...

আর্সেনিক

আমাকে ভাঁজ করে জিপিও-তে গিয়ে পোস্ট করে এলাম তোমার পোস্টবক্স খুলে আমাকে পড়ে নিলেই বুঝে যাবে একটা শ্যামাপোকার জীবনচক্র। ফ্লাইং ডাচম্যান এর অবশ গন্ধ মাখা অ্যানভেলাপও বলে দেবে – আমি কতটা জেয়। নিষিদ্ধ নেশার সুগন্ধ জড়িয়ে ঠোঁটের কিনারে, ব্রতধারীর প্রাহরিক উপাসনা শেষে - নিরীশ্বরবোধের উপলব্ধিতে আমাকে পড়ে ফেলো তখন। যেখানে শোকও কালো বেড়ালের মত আমার অনুপস্থিতি বোঝে; আমার আকর্ষণে ভুলে যায় জেব্রাক্রসিং – তুমি কি তার চেয়ে বেশি কিছু নও? একপাশে টোল খাওয়া অমাবস্যামুখী চাঁদের মত আমাকে ঝুলিয়ে রেখো তোমার দেয়ালে দেখো, কেমন বশবর্তিনী হয়ে গেছ আঁধারের তার পাশে ঝুলিয়ে রেখো – চুলের ট্যাসেল রৌদ্র স্নানের বিকিনি দু’পাঁচটা বিকেল প্রিয়তার বর্ষাঋতু নক্সানবীশ এই দিনকাল। ছায়ার সূচিকর্ম শেষে দেখে নিও জ্যোতির্ময় অভিলাষ পৌনঃপুনিক রাতের সফর। প্রতিবিম্ব ধারণে সক্ষম এই আমাকেই চৈত্রীর রাতে অচতুর পাবে তুমি নির্মোহ মধূৎসবে। এভাবেই তোমার শোবার ঘরে ঝুলে থাকবে সময়ফসিল উদ্ভ্রান্ত ঘূর্ণিজল চন্দ্রাহতের দুঃসাহস। দ্বিধান্বিতের ফন্দি-ফিকির শ্বেতদ্বীপে উড়ে যাবে,- জানালার খিলানে এসে যাবে সূর্যফোটন মৌন রাতের শেষে ভেসে আসবে বৈদূর্য ভোর দিলা...