পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০১০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৃষ্টিদেশের গান

স্নান করেছি আগুন নদী অবহেলায় অনন্তকে আজ পেয়েছি চুমকুড়ি গান বেসুরো মাতম জীয়নকাঠি হারিয়ে ফেলে রাতকালোতে ডুব দিয়েছি খনন নেশায় এই নখরে স্ফুলিঙ্গ নাচন শ্যাম জোছনায় হাত পুড়েছি সাঁঝ লালিমায় পথ জ্বেলেছি ছন্দোবদ্ধ রাত জেগেছি মন-দেহে জখম লাবণ্য তার হারিয়ে গেলে দুর্বিনীত দু’চোখ মেলে পাপ গিলেছি - পিঙ্গল প্রেম আঁধার বিচ্ছুরণ ধুলোঝড়ে বের হয়েছি নিরাভরণ সাদা কালোয় জলছবিটার হাত ধরেছি ফল্গুধারায় রঙের নিঃসরণ স্নান করেছি আগুন নদী ঝুম বেদনার রাত শমনে বৃষ্টিদেশে ডাক দিয়েছে দেশান্তরী মন - কন্ঠলগ্না আকুল ব্যথার আলিঙ্গনের সুখ ধরেছি মন গহনে লেগেছে গ্রহণ অবহেলায় অনন্তকে দীর্ঘ ছায়ায় আজ পেয়েছি শুন্য রাজার শুন্য সিংহাসন।

আলীন উড়াল

বৃষ্টিক্লান্ত চুলে ঐ হাত ঝাপ্টা মারলেই মনময় রঙিন বেলুন। আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁলে ছন্নছাড়া সুখ কররেখায় ফুটে যেত বিধুমুখী চাঁপা ডাকনামে ডেকে যেত ছড়াকাটা পাখি। তোমার খোলা জানালায় তাকালেই নাভিমূলে শিহরণ তছনছ রাত মনোময় নিমিঝিমি তারা। তুমি আলগোছে যা কিছু স্পর্শ করেছিলে আমিও ছুঁয়েছি তা – চায়ের কাপ, বই, গীটার, ঘাস, বাগানবাড়ির সিঁড়ি - সৌবর্ণ ভোর অথবা বিমনা বিকেল ! তুমি পথে হেঁটে গেলে অলখে হেঁটেছি সে পথ ধুলোপথ বাঁধিয়েছি জ্যোৎস্নার মার্বেলে, তোমার বাড়ির পথে বৃন্তচ্যুত শেফালির সন্তাপে দেউলে ঘুরেছি আমি বালিঘড়ি হাতে। হাওয়ার উড়ানে ও আঁচল মুখে পড়তেই পলক ফেলিনি আমি স্বপ্নজাগরী চোখ উড়ে গেছে তার সাথে- হাজার মাসাকালি উড়ে গেছে ঐ পথে উড়ে গেছে নৌকোর শাদা শাদা পাল উড়েছে চিরল পাতা মায়াপড়া আকাশের সেই এক আলীন উড়াল … আসলেই কি হয়েছে কাল? ঐ চোখ তাকালেই এ চোখ স্ফটিক - স্মৃতিগ্রাস, যখনই আড়াল আজ তাই আদি থেকে শুরু করি মুখরিতা তোমাকে দ্বীপবাসী নেশাচুর মনে একটু তো মনে করি ! আলোকরা তোমাকে ঝুমরি ছন্দে পড়ি নামডাকা আঁধারে হাতে নিয়ে বালিঘড়ি শুক্তির বুকে নুয়ে পড়ি ...

তোমার প্রসূন বুকে

অরুণসারথি ভোর খুঁজে ফেরে ঠিকানার ফলকলিপি হৃদয়ের শুশ্রূষায় মেনে নেয় মেঘশূন্যতা পিপাসা জেগে থাকে। একাশ্রিত মনে ঝলসে উঠেছো কেন আজ? অন্তরঙ্গ আলো তুমি নিবিড় প্রাকৃ্তিক; নখদর্পণে বসরাই গোলাপ অন্তরে আতশ অতসী তুমি এক – দুঃখপ্লাবী রুমাল রেকর্ড গানের সিডি পছন্দের শার্ট নওবাহার ফতুয়ার চন্দনকাঠ বোতাম। নিকষকৃষ্ণ দিনে অথবা ঝুলনপূর্ণিমায় উন্মুখর চোখে ভেসে ওঠে করোটির সেলুলয়েডে জমে থাকা সীপিয়্যা টোন জলোচ্ছ্বাস। প্রাণের ফকীরি শোনে মঞ্জীর সুর শুষে নেয় হেমলক। দৃষ্টিবাণী বোঝনি তুমি নাচোনি কাজরী – বর্ষায়, আকাশপ্রদীপ চোখ তবু দেশান্তরী তারার কবিতা পড়ে। শুনতে পাই - তোমার প্রসূন বুকে ত্রিসন্ধ্যা ঘুণশব্দ ঝরে

দিয়ালা

রাতনীল আকাশ পুড়ছে দেখ আজ এই চৈত্রীর রাত – পাতার চিবুক ছুঁয়ে হাওয়া উড়ে যায়। অন্তর তোলপাড়, হৃদয় জ্যোতিষ; শঙ্খমালা জপে - নিশ্চিন্তে ভুল গুনে যায়। রাত হাসে তারার বুনুনি শাল আলতো জড়ায় ! দৃষ্টিপাতে বেঁধে রাখে – বেলির বাগান আকাশের চোখ দিয়ে পড়ে নেয় ধুলোপথে হাওয়া খড়িপাতা। সুপুরির এলোচুলে বসে এক রাতের ডাহুক, আদরের তল্লাশী চলে গুনগুন মৌমাছি প্রাণবীজ ঠোঁটে ওড়ে সর্ষে শরীর হয় কিশোরীর মন সর্ষে শরীরে লাগে হলুদ জ্বলন তিমির প্রহারে জেগে থাকে এই এক রাতের সফর; অচতুর স্বপ্ন বিভোর - ব্যাধরূপ বসে থাকে জীবনের চাঁদমারি ঝোপে। শিকারির মন চায় শিকার দেখুক ছায়াবাজি ছেড়ে দিক খন্ডিতা মেঘ দীপ্তাক্ষী আজ এই দেখুক দিয়ালা এই ব্যাকুল নিরালা জেগে থাক্ রাতনীল রূপসীর আঁকিবুঁকি রয়ে যাক্ উল্কীর মত অনাদি ঘুমের আগে - নিশুতির বিষে ভরুক পেয়ালা।