পত্রালিকা - ৫
১। আজকাল গান শুনি, হারানো অর্কিড... হারানো গানে আছে অজস্র মনে পড়া, তার গুনগুনে ফুটে ওঠে স্মিত জীবনের হাসি। উপমাবিহীন শরতের সাজের ছায়া পড়ে আছে রানীদিঘীতে, আমি এক অবশ মৃণাল- ধরে আছি কান্তার চোখের পদ্ম; অনন্ত মূর্ছনায় দুলে দুলে আজকাল গান শুনি, হারানো হারানো গান। ২। ঝিনুক বোতাম লুকিয়ে রাখে রূপ আর রূপ এক আরক্ত গোধূলিতে হারিয়েছি ফেরার নিয়ম চোখ মাতানো মেঘের প্রচ্ছদে বিরল রংধনু দেখে কুড়িয়েছি অন্ধভোর শিকার দারুণ ক্রীড়া, এখনো মানুষের প্রিয় ৩। তোমার পুতুলদেশ কে বাজায় রিনিঝিনি করে তারার হাসিটি দিয়ে ঝিলমিল করে দেয় নির্জন রাত কে পাড়ায় সোনার কাঠি-রুপোর কাঠি ঘুম উৎসবে কিনে দেয় রঙিন পতাকা একটি মালার মত স্নেহের দু'হাত নেমে আসে আজীবন সমস্ত শোকে একটি শিশুর মুখে মা ডাক ঈশ্বরের মত লাগে... ৪। পাথর প্রতিমার কাঁধে বসে দুপুরের ঘুঘু খুব জানি এ সময় সমাধি প্রতিম কলির প্রচ্ছন্নতা জানি মনে থাকে কারো কবিতা গাঁথার মত দীর্ঘতম চুপ বন্ধুর নীরবতা মনে থাকে তবে কেন অন্তরঙ্গ মুখরেখা ফিরে এসে 'কথা ছিল' বলেছিল কেঁদে? ৫। এতটা লাবণ্য ধরে আছো! তবু কেন দেরাজে লুকিয়ে রেখেছো রঙিন জামা? ...