হেসে দাও এই অপরাহ্নের দিকে চেয়ে
হেসে দাও এই অপরাহ্নের দিকে চেয়ে এই অপরাহ্ন, একা হাসির পানসী ভাসিয়ে দাও এই বাতাসে বিগত সারা সারা দিন উৎসবের মত প্রোজ্জ্বল হয়ে উঠুক আমিও মেলে দিলাম সন্ধ্যাহাসি রাত্রিলব্ধ কথা বুকের সংগোপিত মেসোনাইটে অ্যাক্রেলিক উঠে এলে দশটি আঙ্গুল হয়ে খেলা করে হৈমন্তিক আঁখর বুকের পাঁজরে রৌদ্রের সঞ্চয় থেকে দৃশ্যমান হয় উচ্ছল অহমীয়া সবুজ ! আপাত মনোলিথিক জীবনের সব সংগতি ঝেড়ে ফেলি, আর তক্ষুনি কফিনের কোনো চোরা ছিদ্র পথের রশ্মিরেখায় ভাসে প্রাকৃত মুখ …নিঝুম দ্বীপের মত প্রকৃতি যাকে আজীবন নগ্নতা দান করেছে সেই নিরঞ্জন বলেছিল হাতচিঠির সংলাপ - সূর্য দিনের বিধান, রূপসার রুপাজল বেয়ে বেয়ে অন্তর্জলী যাত্রার উপাখ্যান; আর কফিন দেয়ালে আছড়ে পড়েছিল ধ্রুবরেখা দেশেদের সমুদ্র ঢেউ গহনকৃষ্ণ মেঘ, ঝড়জল, হরিয়ালের প্রপঞ্চময় ঠোঁট পিছু ফেলে যুগ যুগ নিরম্বু উপবাস শেষে জীবনচ্যূত সময়কে ঝেড়ে ফেলি। আজ শুধু সুরূপার চোখের বিদ্যুতে ভেসে ভেসে উঠুক লউসনিয়ার গথিক ক্যাথেড্রাল আর আমি আরমানী মোহন্তের মত নির্বাণ পথ নিয়ে, কত প্রশ্ন নিয়ে মুখোমুখি বসে থাকি… দেখ, তোমাদেরও চোখে দোয়েল পাখনায় দু’ধারায় আলো ঝরে পড়ে… এই অপরাহ্ন, একা হেসে দাও এই অপরাহ্নের দিক...