আমি কোন শব্দকর নই
সে-ই দিয়ে গেছে ক্বচিৎ স্খলন নাক্ষত্র মুখ যার--- যে দিয়েছিল চকিত চাহনির মত উপহার নেচে যাওয়া দাদরায় বৈশাখী ঢাক যে এনেছিল ঝড়ো বৈশাখ তাকেই বলতে পারি তাপদগ্ধ দুপুরশাড়ির হলুদ শরীর সিক্ত কর বৃষ্টিচুম্বনে ঝরে পড়, ঝরে পড়...... কী এক দিব্যপ্রেরণায় নিশীথা উড়িয়েছিল শঙ্খচিল আকাশ সুরেখায় তীব্র তীরের মত বিঁধে আছো ঈগল উল্কি সহ্যাতীত মখমল প্রেইরীর তারুণ্যে শ্যামচোখ দ্রাবিড় নারীর যত জীবনপ্রতিম ব্যাথা আর আমাদের দ্বৈতকথার বিস্তার তন্নতন্ন করে লুণ্ঠন করে গ্যাছে আমাদেরই আজন্ম অঞ্জলিদান নাহ! আমি কোন শব্দকর নই আমি এখনো সেই মহিমমুখর কুমার আমার আঙ্গিনায় আঁজলা ভরা কুয়াশা নিয়ে কেউ আসে নাই আর আমার কুলালচক্রে জলমৃত্তিকার ঘূর্ণনে আর কোনো গল্পগাঁথা আঁকা ফিঙ্গে পাখির অবয়ব ফোটে নাই নিয়ন নীল নগরের বুকে আমার এখনও বৃক্ষমন আমার চক্ষুময় ইক্ষুর মিষ্টি মদ আঙ্গিনার পুষ্প জাফরিতে ফরাসী ঘ্রাণ মণিপুরি চাদরের মত বর্ণময় দিন বোনে যে যারে আমি দান করি আলোর প্রহর কৃষ্ণতরুণ মেঘ; যার চোখের শার্সিতে হিরাশিশির শ্যাম চোখ মায়ায় যার বাবুমনি ভোর--- শুধু তারই জন্যে এই কুশতৃণ হাতে হিরণমন্দিরমুখী প্রার্থনা - পলাশ স্পর্ধার মত রক্তময় সুক্ষণে ওংকারে...