মনোজ জার্নাল
বারুদ জ্বালায় থাকে অগ্নির সন্তান মৃতবৎসার শোক ধরে ধরে টোলপড়া গালের মণিযোনি থেকে মুগ্ধতা লুকিয়ে রেখে আর কত বরষাত বরবাদ করে যাবে ? ইচ্ছে কর যোগিনীর যাবতীয় প্রদর্শনী তুল ধর দেহান্তরে করতালি দিয়ে ওঠো ; আলো কর তারায় তারায় ঝিঁকিয়ে ওঠা আকাশ আমার মন্ত্রসাধন ক্বচিত্ ভুল পথে গেলে মন্ত্রমুগ্ধ কর নয়তো বিলকুল আমি সেই লাগাতার ক্ষুধাতুর গেরস্থালি করে যাবো করে যাবো চুপিসারে জীবন খনন তুলে নিতে সব প্রতিশোধ জন্ম ইশতেহার পাল্টে ফেলে ছলপাতা পথকে এড়িয়ে আমি ঠিকানায় পৌঁছে যাব এ সকল দিন গুজরান কৃষ্ণচূড়ার অপমান কে চায়? পূর্বসমুদ্র থেকে একটা বিরোধিনী বাতাস এসেছে তুমি শুনতে পার বেদনাবিতানে ভিড় থেমে গেছে, দিনলিপিতে উঠে এসেছে শান্তিনিকেতন শরীর তূণীর থেকে পরঞ্জয়ের বোধ শুষে নিলে নিষাদকন্যার ঈর্ষা মুছে যায়, কেন জানতে পার। কাজল রেখার পথ ধরে সন্ধ্যা নামার মত একটি পলকপাত দেখতে গিয়ে বেদুঈন হয়ে গেছে মনোজ জার্নাল উদ্দাম চৈত্রের দিনে হাজার সৌরবর্ষের রোদের চাবুক সয়ে আখাউড়ার লেবুবন পেয়ারার সবুজ টকে এসে গেছে বর্ষামন্ডিত প্রহর বেলোয়ারি শরীরী উদ্ভাস সুপরিচিত মুখের দিকে নেমে আসছে অশ্রুমোছা কৃষ্ণচূড়ার রুমাল শালীন সন্ধ্যাভাষা তনুতা...